আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি।
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে বরগুনার আমতলীতে উপজেলা আওয়ামী যুবলীগ ও পৌর যুবলীগের একাংশের কর্মসূচিতে প্রতিক্ষের হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের চেয়ার ভাংচুর ও কর্মসূচির ব্যানার ছিড়ে ফেলা অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ৪৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে উপজেলা যুবলীগ ও পৌর যুবলীগের একাংশ উপজেলা যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাহবুবুর রহমান, সহ-সভাপতি সৈয়দ নাজমুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সোবাহান লিটন এবং পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ তাজুল ইসলাম তিঠু, সহ-সভাপতি গুলিশাখালী ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাড. এইচএম মনিরুল ইসলাম মনি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোর্শ্বেদ ইমনের নেতৃত্বে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে আলোচনা সভা করার প্রস্তুতি হিসেবে ব্যানার টানানো হয়। সেই মুহুর্তে পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক জিএম মুছার নেতৃত্বে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ দেওয়ানসহ উপজেলা ও পৌর যুবলীগের অপর অংশের নেতা কর্মীরা প্রতিপক্ষের টানানো ব্যানার ছিড়ে ফেলে ও কার্যালয়ের চেয়ার ভাংচুর করে বলে উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের অপর সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম বাদল প্যাদা সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন। দলীয় কার্যাল ভাংচুরের সংবাদ পেয়ে আমতলী থানা পুলিশ কার্যালয়টি তাদের নিয়ন্ত্রনে নিয়ে উভয় পক্ষকে সেখান থেকে বের করে দেয়। পরে উভয় পক্ষ দলীয় কার্যালয়ের বাহিরে আলাদা আলাদা কর্মসূচি পালন করেন। উপজেলা যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি দাবীদার মোঃ মাহবুবুর রহমান অভিযোগ করেন, আমাদের পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি পন্ড করার জন্য পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক পৌর কাউন্সিলর জিএম মুছা ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহিদ দেওয়ানের নেতৃত্বে দলীয় কার্যালয়ে হামলা করে চেয়ার ভাংচুর ও আমাদের কর্মসূচির ব্যানার ছিড়ে ফেলা হয়েছে। উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহিদ দেওয়ান বলেন, মাহবুবুর রহমান উপজেলা যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি না। আর সাইফুল ইসলাম বাদল প্যাদাও যুবলীগের কোন পদে নেই। আর আজকে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তারাই পরিকল্পিতভাবে হামলা করে দলীয় কার্যালয়ের চেয়ার ভেঙ্গে আমাদের অনুষ্ঠান পন্ড করে দিয়ে উল্টো আমাদের উপড়ই দায় চাপাচ্ছে। অভিযোগের বিষয়ে পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক পৌর কাউন্সিলর জিএম মুছা মুঠোফোনে বলেন, যুবলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকের দাওয়াতে আমি দলীয় কার্যালয়ে যাই। সেখানে গিয়ে দেখি যুবলীগের উপজেলা ও পৌর কমিটিতে যারা অন্তরভূক্ত না সেই সকল নামধারী যুবলীগ নেতা-কর্মীদের সাথে উপজেলা যুবলীগ নেতৃবৃন্দের তর্কবিতর্ক হয়। পরে পুলিশ এসে উভয় পক্ষকে দলীয় কার্যালয় থেকে বের করে দেয়। আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মিজানুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, দলীয় কার্যালয় ভাংচুরের সংবাদ পেয়ে পুলিশ পাঠিয়ে কার্যালয়টি আমাদের দখলে নিয়ে উভয় পক্ষকে সেখান থেকে বের করে দিয়েছি।