আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি।
বরগুনার আমতলী সদর ইউনিয়নের খুরিয়ার খেয়াঘাট নামক স্থানে বিএনপি’র দুই গ্রুপের মধ্যে পাল্টাপাল্টি চাঁদাবাজির অভিযোগে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৬জন আহত হয়েছে।
আহতদেরকে স্থানীয় ভাবে ও আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
বুধবার দুপুর ১টার দিকে ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, আমতলী উপজেলার সদর ইউনিয়নের খুরিয়ার খেয়াঘাট এলাকায় বিএনপি উপজেলা কমিটির সদস্য সচিব মোঃ তুহিন মৃধা ও বিএনপি’র বহিষ্কৃত সভাপতি মোঃ জালাল উদ্দিন ফকিরের অনুসারী কর্মী সমর্থকদের মধ্যে চাঁদাবাজির পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দা, বগি, রামদা ও লাঠিসোঠা নিয়ে সংঘর্ষের জড়িয়ে পরে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৬ জন আহত হয়েছে। আহতরা হলেন যুবদল কর্মী মোঃ আজাদ (৪৫), শ্রমিক দল নেতা মোঃ মিলন (৩৬), মোঃ মিজানুর রহমান (৪০), বিএনপির কর্মী মোঃ হুমায়ুন কবির মৃধা (৩৫), মোঃ রেজাউল কবির (৩০) ও মজিবর রহমান আকন (৪৫)।
আহতদেরকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
আমতলী উপজেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব মোঃ তুহিন মৃধা অভিযোগ করে বলেন, চাদাবাজির অভিযোগে দল থেকে বহিস্কৃত জালাল উদ্দিন ফকিরের নেতৃত্বে তার পালিত সন্ত্রাসীরা আমতলী সদর ইউনিয়নের খুরিয়ার খেয়াঘাট এলাকায় ব্যবসায়ীদর নিকট থেকে ব্যাপক চাঁদাবাজিসহ ভয়ভীতি প্রদর্শন করার অভিযোগ পেয়ে আমি সেখান উপস্থিত হয়ে ব্যাবসায়ীদের চাঁদা বন্দের নির্দেশ দেই। ওই সময় জালাল উদ্দিন ফকিরের পুত্র একাধিক চুরি, ডাকাতি ও হাইজ্যাক মামলার আসামী রাহাত ফকিরসহ তার অনুসারী মোকলেছ, আমিনুল, মোমেন, মামুন সিকদারসহ শতাধিক সন্ত্রাসী দা, রামদা, ছেনা, বগী ও লাঠি নিয়ে আমাদের উপর হামলা কর। হামলায় আমাদের ৩ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছে। এরমধ্যে মিজানুর রহমানের হাত ভেঙ্গে গেছে।
বহিস্কৃত বিএনপির সাবেক সভাপতি জালাল উদ্দিন ফকির বলেন, বুধবার সকালে বিএনপির সদস্য সচিব তুহিন মৃধার নেতৃত্বে একদল বিএনপি’র কর্মী খুরিয়ার খেয়াঘাটের মুদি ব্যবসায়ী হুমায়ুন কবিরের দোকানে চাঁদাবাজি করতে যায়। ওই সময় ব্যবসায়ী চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করলে তার দোকান ভাংচুরসহ ৩ জনকে পিটিয়ে আহত করে।
আমতলী থানার ওসি তদন্ত আমির হোসেন সেরনিয়াবাত বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল।
ওই বিষয়ে এখনো কোন পক্ষের নিকট থেকে অভিযাগ পাইনি। অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।