মাইনুল ইসলাম রাজু
আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি।
বরগুনা আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের কুলাইরচর গ্রামের দুষমী (সাবানিয়া) খালের লিজ বাতিলের দাবিতে দুই পাড়ের ভূক্তভোগী শত-শত কৃষকরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
আজ (শনিবার) বেলা ১১টায় ওই খালের পাড়ে অনুষ্ঠিত ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল শেষে কৃষকরা জানান, দুষমী সাবানিয়া খালের দুই পাড়ের কয়েকশত একর তিন ফসলী কৃষি জমি রয়েছে। শুকনো মৌসুমে কৃষকরা ওই খালের পানি দ্বারা রবিষস্য, মৌসুমি ফল তরমুজ, মুগডাল, চিনা বাদাম, মিষ্টি আলুসহ বোরো ও ইরি ধানের চাষাবাদ করে থাকেন। গত দুই বছর ধরে একই এলাকার রাশেদুল ইসলাম রেজাউল উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয় থেকে বাংলা ১৪২৮ সাল থেকে ১৪৩০ সাল পর্যন্ত দুষমী (সাবানিয়া) খালের বন্দোবস্ত নিয়ে মাছ চাষ করছেন। কিন্তু বন্দোবস্ত পাওয়া গ্রহিতা কৃষকদের তরমুজ ও বোরো- ইরি মৌসুমে ওই খালের পানি কৃষি কাজে ব্যবহার করতে দিচ্ছে না। জোর করে ওই খালের পানি ব্যবহার করতে গেলে কৃষকদেরকে মারধর ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি এমনকি তাদের পালিত গরু ছাগলকে পানি পান করাতে পর্যন্ত দিচ্ছেন না। উল্টো ভূক্তভোগী কৃষকদের বিরুদ্ধে একাধিক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ইতিপূর্বে রাশেদুল ইসলাম রেজাউলের দায়েরকৃত মিথ্যা মামলায় ওই এলাকার কয়েক জন কৃষক হাজত বাসও করেছেন।
এ ঘটনায় ভূক্তভোগী কৃষকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা অনতিবিলম্বে ওই খালের লিজ বাতিল, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও লিজ গৃহীতা রাশেদুলের বিচার দাবি করেন।
মানববন্ধনে ও বিক্ষোভ মিছিলে ইউপি সদস্য জিয়ায়ুল ইসলাম জোসেফ তালুকদারসহ কৃষক জামাল খান, বাবুল খান, মনির খান বক্তব্য রাখেন এ সময় শত-শত ভূক্তভোগী কৃষক ও নারীরা উপস্থিত ছিলেন।
ইউপি সদস্য মোঃ জিয়াউল ইসলাম জোসেফ তালুকদার বলেন, কৃষকদের ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য যদি আমারও জেলে যেতে হয় যাবো। তবুও কৃষকদের ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন করে যাবো।
দুষমী (সাবানিয়া) খালের বন্দোবস্ত পাওয়া রাসেদুল ইসলাম রেজাউল মুঠোফোনে বলেন, তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় থেকে মাছ চাষ করার জন্য দুই বছরের মেয়াদে খালটি লিজ নিয়েছি। তিনি এর বেশি তিনি কিছু বলবেন না বলে ফোনের সংযোগটি কেঁটে দেয়।
হলদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আসাদুজ্জামান মিন্টু মল্লিক মুঠোফোনে বলেন, খালের লিজ নিয়ে রাসেদুল ইসলাম রেজাউল কৃষকদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন। চাষাবাদের জন্য খালটি ভূক্তভোগী কৃষকদের খুবই প্রয়োজন। তিনি খালের লিজ বাতিলের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
আমতলী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ নাজমুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, কৃষকদের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি সরেজমিনে গিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।