মাইনুল ইসলাম রাজু আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি।
বরগুনার আমতলীতে ব্যস্ত সময় পার করছে আমন চাষিরা। আমন কৃষকের কাছে একটি নিশ্চিত ফসল বা আমানত হিসেবে পরিচিত ছিল। আবহমানকাল থেকে এই ধানেই কৃষকের গোলা ভরে, যা দিয়ে কৃষক তার পরিবারের ভরন-পোষণ, পিঠাপুলি, আতিথিয়তাসহ সংসারের অন্যান্য খরচ মিটিয়ে থাকেন। আর সেই স্বপ্ন পূরণের লক্ষ নিয়ে আমন ধান চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। আজ (শনিবার) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জমি তৈরি, বীজতলা থেকে চারা সংগ্রহ ও জমিতে ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। এ বছর আষাঢ়ের শুরু থেকেই বিরামহীন বৃষ্টি ও নদ- নদীর পানি বৃদ্ধিতে বীজতলা ও জমি পানিতে তলিয়ে যায়। ফলে রোপা আমন চাষে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে বলে জানান অনেক কৃষকরা। বেশ কয়েকজন চাষির সঙ্গে কথা বললে তারা জানায়, দেরি করে হলেও মাঠ জুড়ে যেন উচ্চ ফলনশীল জাতের আমন ধান রোপণের প্রতিযোগিতা চলছে। চলতি বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে জমি ডুবে থাকায় আমন ধান রোপণে কিছুটা বিলম্ভ হয়েছে। এছাড়া চলতি মৌসুমে আমন ধান চাষের খরচ অন্য বছরের চেয়ে বেশি হওয়ায় অনেক কৃষকই তাদের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ধান চাষ করতে পারছেন না। উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের ঘটখালী গ্রামের কৃষক মোঃ কামাল মিয়া বলেন, এবার উচ্চ ফলনশীল (হাইব্রিড) জাঁতের ধান লাগিয়েছি। উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের পূর্বচিলা গ্রামের চাষি তহসিন মিয়া বলেন, টানা বর্ষণে জলাবদ্ধতার কারনে আমন রোপনে দেরি হয়ে গেছে। আঠারোগাছিয়ার পশ্চিম গাজীপুর গ্রামের কৃষক মোঃ আলমগীর মুছুল্লী বলেন, প্রতিবছর শ্রাবণ মাসের শুরু থেকে মাঠে মাঠে আমন ধান রোপণ শুরু হয়। কিন্তু এই বছর জমিতে পানি বেশি থাকায় আমাদের ধানের চারা রোপণ করতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। উপজেলা কৃষি অফিসার সিএম রেজাউল করিম মুঠোফোনে বলেন, চলতি বছর ২২ হাজার ৩ শত ৪০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। ইতিমধ্যে চাষিরা প্রায় ১৫ ভাগ জমিতে আমন ধান রোপণ করেছেন।