মাইনুল ইসলাম রাজু
আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি।
অমাবস্যার জোঁএর প্রভাবে বরগুনার আমতলী ও তালতলী উপজেলার পায়রা (বুড়িশ্বর) নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে দু’উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ফেরীর গ্যাংওয়ে তলিয়ে জেলা শহর বরগুনার সাথে তিন ঘন্টা ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল।
জানাগেছে, অমাবস্যার জোঁ এর প্রভাবে পায়রা (বুড়িশ্বর) নদীর পানি স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ১৯ সেন্টিমিটার উপড় দিয়ে প্রবাহিত হয়। এতে উপকূলীয় আমতলী ও তালতলী উপজেলার চর ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। ভেরীবাঁধের বাহিরের বসবাসরত মানুষের বাড়ী- ঘর পানিতে তলিয়ে অতিকষ্টে জীবন যাপন করছে।
জোঁ এর পানিতে আমতলী পৌরসভার ও উপজেলার আমুয়ারচর, স্বশানঘাট, লঞ্চঘাট, ফেরীঘাট, লোচা, বালিয়াতলী, পশুরবুনিয়া, আড়পাঙ্গাশিয়া, বৈঠাকাটা, আঙ্গুলকাটা, গুলিশাখালী ও নাইয়াপাড়া এবং তালতলী উপজেলার নিশানবাড়িয়া, ফকিরহাট, সোনাকাটা, নিদ্রাসকিনা, তেতুঁলবাড়িয়া, গাবতলী, মৌপাড়া, ছোটবগী, জয়ালভাঙ্গা ও পচাঁকোড়ালিয়া এলাকার নি¤œাঞ্চল পানিতে প্লাবিত হয়ে ভেরীবাঁধের বাহিরে থাকা সহা¯্রাধিক পরিবারগুলোর ঘর বাড়ী তলিয়ে যায়। ভূক্তভোগী পরিবারগুলো বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে।
এদিকে আমতলী- পুরাকাটা ফেরী ঘাটের গ্যাংওয়ে তলিয়ে যাওয়ায় বেলা সাড়ে ১০ টা থেকে দুপুর ১.৩০টা পর্যন্ত ৩ ঘন্টা জেলা শহর বরগুনার সাথে ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। এতে যানবাহন ও মানুষের চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। ভুক্তভোগী মানুষ হাটু পরিমাণ পানি ডিঙ্গিয়ে সড়কে উঠছে।
ফেরিঘাটের পরিচালক আঃ ছালাম বলেন, জোয়ারের পানিতে ফেরির গ্যাংওয়ে তলিয়ে প্রায় ৩ ঘন্টা জেলা সদরের সাথে ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল।
আমতলীর গুলিশাখালী নাইয়াপাড়া গ্রামের জেলে বলহরি বলেন, অমাবস্যার জোঁ এর প্রভাবে পানি বৃদ্ধি পেয়ে পায়রা নদী সংলগ্ন চর ও নির্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
তালতলীর জয়ালভাঙ্গা গ্রামের শহিদুল ইসলাম বলেন, পায়রা নদীর পানিতে ঘর বাড়ী তলিয়ে যাওয়ায় পরিবার- পরিজন নিয়ে উচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছি।
অপরদিকে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ না থাকায় আমতলী উপজেলার গাজীপুর বন্দরটি জোঁ এর পানিতে তলিয়ে যায়। বন্দরের ব্যবসায়ী ও ইউপি সদস্য আঃ বাতেন দেওয়ান বলেন, ভেরীবাঁধ না থাকায় জোঁ এর পানিতে গাজীপুর বন্দর তলিয়ে গেছে। এতে ব্যবসায়ীরা তাদের দোকানপাট বন্ধ করে মালামাল নিরাপদ স্থানে রেখে দিয়েছে। দ্রæত গাজীপুর বন্দরে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ দেয়ার জোর দাবী জানাই।
বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ কায়সার আলম মুঠোফোনে বলেন, পায়রা (বুড়িশ্বর) নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ১৯ সেন্টিমিটার উপড় দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে। এতে দু’উপজেলার চর ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হলেও কোথায় বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ ভেঙ্গে যায়নি। তিনি আরো বলেন, ঝুকিপূর্ণ বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধগুলো আগেই সংস্কার করা হয়েছে।